কিছু নস্টালজিক
স্বগোতোক্তি
ডানা আঁকলেই ভুরু হয়ে যায়
সূর্য আঁকলে মনি
কারো কথা শুনে মনে পড়ে যায়
নদীর জলস্রোত পাখির কাকলি
অনেক
পিছনে ফেলে আসা গেছে
দিগন্তজোড়া মাঠ
মাঠে ফুটবল, মাঠে পিট্টু
মাঠে সন্ধ্যে কাটানো আড্ডা
আর, শাঁখের আওয়াজে ঘরে ফিরে আসা শৈশব
মাঠে কাটিয়ে দেওয়া সে আহ্বান
বান্ধবীদের
ওরা মেয়েলী,
যারা বিকেলেও পড়ে গল্পের বই রাত্তিরে শোনে
"সঙ্গীত"
(সব ক্লাসিক্যাল)
ওরা সাঁতার কাটতে জানে না
শুধু হোমটাস্ক
ওরা কলেজে গেলেও ঘর থেকে নিয়ে
যবেই টিফিন বাক্স
ওরা খোরাক করতে পারে না
জুনিয়ারদের
আর ফ্রকের ঝুলের সঙ্গে
ওরা মেয়েদের বুক মাপে না
ঝারি মারে না
আমরাই একা ফুচকা খাওয়ার দঙ্গল
দেখে হ্যাটা দিই
মেলা কর্নারে তালপাতা-ঠোঙা চাটলেও
মুখে মানি না। পড়া বুঝতে
আমাদের চিলেকোঠাতেও
তবু কখনো
আসে পাশের বাড়ির কন্যে, (চোখে বিদ্যুৎ
!)
পড়া হয়,
যার কিছুই হয়তো পাঠ্য বইয়ের পড়া নয়
সিলেবাসে নেই
শুধু কৈশোর তাকে করতে শিখেছে অনুভব
সেই সির্সির্ কেঁপে ওঠা-দের
বাইরে যতই প্রখর প্রতাপ নিদাঘের
ঘরে হেমন্ত ছুঁয়ে যায় আমাদের পেন্সিল
বইখাতারাও ফ্রিতে ডানা পায়
উড়ে পেতে চায় সেই প্রান্তর
দিন শেষ হলে যার কাছে ফিরে আসবেই
সেই পাঁচজন -
আর নেমকহারাম সময়টা হাতে তুলে দেয় -
দুটো বাংলা -
তখনও কি স্রোত বইছে বড়বড়িয়ায়
খ্যকশেয়ালের প্রিয় ঝোপঝাড় -
সব এড়িয়ে
সোজা নদীর ঘাটে অশথতলাতে বসেছি
নস্টালজিক ......
............. প্রায় দশ বছরের ব্যবধান ...........
বান্ধবীরাও ঘর পাল্টেছে স্বচ্ছন্দেই
তবু স্মৃতি থাক -
সেই সুবোধ গোপাল স্মৃতিরাও -
হাত কেটে যাওয়া দেখে কান্না
(ফুলে বিশ্রামরত মৌমাছিটাও হতবাক! )
- "এতো মায়ের কোলের তুতুমুতু"
যেই জলভরা চোখ বলল -
""মা তো .... মরে গেছে
.... ""
- সেই স্তব্ধতা আজো হাতরায়....
চিলছাত ছুঁয়ে ফেটে ঝরে সেই আর্তি
আমার আকাশ খান্খান্ হয়ে ভেঙে যায়
কালো গোমরানো দিন চিৎকার করে, হুঙ্কার ছোঁড়ে
রাতদিন -
ঘিরে ধরতে আসছে সম্পর্কের কঙ্কাল
ছেড়ে যাও, চলে যেতে দাও -
যত বলছি -
আরো আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধছে মৃত শৈশব
হাতে তুলি নিলে রং কম পড়ে
ডানা আঁকলেই ভুরু হয়ে যায় - চোখ অন্ধ ।