একটা পাঁচমাত্রিক পদ নিয়ে লোফালোফি
সূর্য যখন মুছতে মুছতে মুছেই ফেলেছে অন্ধকার
আবছা আলোয় জন্ম নিচ্ছে নতুন করে
পঁচিশে বোশেখ
রাত জাগা চোখ শুনতে পেল
আনন্দময় পাখির কুজন
"নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গে" চোখ মুছলেন তরুণ লেখক।
বোলপুরের খোয়াই তখনো জানতো না কোনো প্রভাতফেরীকে
তবু বেখেয়ালে গানের সুর ভেসে যাচ্ছিল মৃদুল হাওয়ায়
পদ্মায় ভাসা বজরায় বসে অন্যমনা
কবির কলম
এঁকে চলেছিল শব্দে ছন্দে জীবনস্রোতের চলচ্ছবি
।
উপন্যাসের হাত ধরে আসা নৃত্যনাট্য, গীতিকবিতা
না দেখা ভাবের "অনুসন্ধান - অস্থিরতা" বানীমর্মরে
তুলির টানেও ধরতে চেয়ে
অনাদি অসীম কোন অজানাকে
নেশার ঘোরে ইতিহাসে তিনি খুঁদে চলেছেন বর্ণাঢ্যতা।
বিকেলবেলা ঈশানকোণের বাতায়ন খুলে আলস্যময়
স্থির বিস্ময়ে দেখছিলেন
রঙে মাখামাখি মেঘেলা নকশা
ঠিক তক্ষুনি ময়না পাড়ার কৃষ্ণকলি
আঁচল উড়িয়ে
আকাশের পটে সময়ের মুখে লেপে দিচ্ছিল সেই আঁধার
।
এই শুরু হল অলৌকিক
সুরে গানে লয়ে ব্যতিক্রমের
আচম্বিতে বিদ্যুৎ ছুঁল রচনার গতি, ছন্দোমুক্তি
সন্ধ্যে ঘনাল বলেই কি এই বলাকার ডানা নিয়মহীন
?
"রোগশয্যায়" "প্রথম শিথিল ছন্দোমালা" উষ্মা জানায়?
অতৃপ্তি কেন? কেন কাটাকাটি? পংক্তিসজ্জা বদল কেন
?
"সৃষ্টির ধ্যানে কি ভীষণ একা"
! প্রেস কপিতে স্পন্দবদল!
অমাবস্যা, কেউ জেগে নেই। ঠাকুর বাড়িতে মোমের আলোয়
রাত্তির জেগে "বাংলা ভাষা" কাটছে জুড়ছে "রবীন্দ্রনাথ"।
No comments:
Post a Comment